Posts

গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি কী?

Image
রাজনৈতিক অর্থনীতি: রাজনৈতিক অর্থনীতি কথাটি অর্থশাস্ত্রের পুরোনো নাম। বুর্জোয়া অর্থতাত্ত্বিকগণ এই শাস্ত্রের পথিকৃৎ। গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি বাংলাদেশে গণমাধ্যম বিষয়ক আলোচনায় সাম্প্রতিক সময়ে আলোড়ন তোলা শব্দযুগ্ম। ফরাসি অর্থবিজ্ঞানী আন্তয়াঁ দ্য মঁক্রেতিয়ে প্রথম পলিটিকাল ইকোনমি বা রাজনৈতিক অর্থনীতি প্রত্যয়টি ব্যবহার করেন। আঠারো শতকে রাজনৈতিক অর্থনীতি ধারণার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের উদ্ভব ঘটে। তখন তা মূলত উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয়, বণ্টন ও তার সাথে আইন, প্রথা ও সরকারের সম্পর্ক বিচার-বিশ্লেষণ করতে ব্যবহৃত হয়েছে। এই ধারা পরে মার্কসবাদীদের হাতে নতুন মাত্রা পায়। মার্কসবাদীরা রাজনৈতিক অর্থনীতির আলোচনায় শ্রম ও পুঁজির দ্বন্দ্ব, শ্রমশোষণ, শাসকশ্রেণির মতাদর্শ নির্মাণের মতো বিষয়কে যুক্ত করেন। রাজনৈতিক অর্থনীতিকে এক বাক্যে প্রকাশ করা দুষ্কর। অভিধান থেকে অভিধানে এর শব্দগত সংজ্ঞা নিয়ে অমিল দেখা যায়। দি নিউ পালগ্রেভ গ্রন্থে রাজনৈতিক অর্থনীতিকে সম্পদবিজ্ঞান বলা হয়েছে। আবার দি ডিকশনারি অব মর্ডান ইকোনমিক্স একে সংজ্ঞায়িত করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্কের তত্ত্ব ও চর্চা হিসেবে। অন্যদিকে যোগাযোগের রাজনৈতিক অর্থনীতি...

প্রগতিশীল আন্দোলনই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে উজ্জীবিত করছে

Image
স্বাধীনতার সমবয়সী দেশের অন্যতম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জল অবদান রয়েছে বিভিন্ন প্রগতিশীল আন্দোলনে। আভ্যন্তরীণ এবং জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  শিবির, খুনি-ধর্ষক এবং যৌন নিপীড়ন বিরোধীসহ বিভিন্ন আন্দোলনের অধিকাংশই পেয়েছে সফল পরিণতি। সারা দেশে পরিচিত হয়েছে ‘প্রতিবাদের ক্যাম্পাস’ নামে। জাবির প্রগতিশীল আন্দোলনগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এসব আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আলাদা চরিত্র দিয়েছে এবং উজ্জীবিত করে আসছে। রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন মনে করেন, এসব প্রগতিশীল আন্দোলন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি শক্ত সাংস্কৃতিক ভিত্তি দিয়েছে। পাশাপাশি একটি মুক্তচিন্তার কেন্দ্র হিসেবে সর্বমহলে মর্যাদাকর পরিচিতি পেয়েছে। জাবির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসিম আখতার বিশ্ববিদ্যালটির শুরুর সময় থেকে শিক্ষকতা করছেন। ক্যাম্পাসে ঘটা প্রায় সবগুলো প্রগতিশীল আন্দোলন নিয়ে তার সরাসরি অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রগতিশীল আন্দোলনে জাবির অবদান জানতে চাইলে সেই অভিজ্ঞতার ঝুলি খুলেন তিনি। প্রথমেই জানালেন, স্বাধীনতার...

পরিচয়ে বিভ্রান্তি (ফটো ব্লগ- ৫)

Image
সঠিক নামটি না জানলে কিংবা কোন নির্দিষ্ট নাম না থাকলে তা নিয়ে আমাদের প্রায়শই বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। বিশেষ করে যারা নবাগত তাদের কথাবার্তা তো রীতিমতো অন্যদের মজা দেয়। এবারে জেনে নেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ রকম কিছু পরিচয় বিভ্রান্তির কথা।  ‘ ডেইরি গেট ’ : বিষয়টি খুবই দুঃখজনক যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কোন নামকরণ করা হয়নি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলেই এই ফটককে ‘ ডেইরি গেট ’ নামে ডাকেন। প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঠিক বিপরীত পাশে অবস্থিত একটি ডেইরি ফার্মের পরিচয়েই প্রধান ফটকের পরিচিতি পেয়েছে! এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরিচয় দিতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে পড়েন অসস্তিতে। আর পরিচয় নিয়ে বিপাকে পড়েন বাইরে থেকে বেড়াতে আসা লোকেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ঠিক বিপরীত পাশে অবস্থিত এই কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার তথা ডেইরি ফার্মের পরিচয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের পরিচিতি। প্রধান ফটকের নামকরণের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে দাবি জানিয়ে আসছেন।   জয় বাংলা গেইট: বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর ...

ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার (ফটো ব্লগ- ৪)

Image
বাংলাদেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ৬৪ জন নিহত হয়। আর এই সংখ্যা বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতদের সংখ্যার মধ্যে সর্বোচ্চ । সেন্টার ফর ইনজ্যুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) করা ২০১৭ সালের  এই গবেষণা তথ্য থেকে আঁচ করা যায়,  সড়কে মানুষ কতটা অনিরাপদ থাকে। দেশের অন্যতম দুর্ঘটনাপ্রবণ মহাসড়ক ঢাকা-আরিচার কোল ঘেঁষেই অবস্থান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের। অসচেতনতা, তাড়াহুড়া, কিংবা সড়কে অব্যবস্থাপনার কারণে হারহামেশাই ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। মাঝেমধ্যে ঘটে যায় হতাহতের মতো ঘটনাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ওভারব্রিজ থাকলেও অনেকেই তা ব্যবহার না করে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হন। সড়ক বিভাজকে ভাঙা থাকায় তা এই চলাচলকে আরো গতি দিয়েছে। ব্যস্ততম এই মহাসড়কটি এভাবে পার হতে গিয়ে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।  সাভার-ঢাকাগামী যাত্রীরা সময় বাঁচাতে এবং ওভারব্রিজে ওঠার কষ্ট এড়াতে এভাবেই হেঁটে সড়ক পার হন। প্রধান ফটকের অদূরে যে গতিরোধক আছে তা বড় গাড়ির গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকছেই। ...

বিজ্ঞান গবেষণায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (ফটো ব্লগ- ৩)

Image
বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে, বিশেষ করে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ, উদ্ভিদ এবং প্রাণী নিয়ে গবেষণায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে বেশ সুনাম। প্রতিটি বিভাগের গবেষণাগার ছাড়াও মাঠ পর্যায়ে গবেষণার জন্য রয়েছে কয়েকটি স্থাপনা। ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র:   বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম একাডেমিক বিজ্ঞান গবেষণাগার ‘ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র ’ । প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড.ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতি ও অবদানের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে তার নামে এটির নামকরণ করা হয়েছে। ছয়তলা বিশিষ্ট এ গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০০৯ সালে। গবেষণাগারটি শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য নয়,  সারা দেশের বিজ্ঞানমুখী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্যও বিজ্ঞান গবেষণার দ্বার উন্মুক্ত করেছে।  পানি গবেষণা কেন্দ্র: পানি দূষণ রোধ এবং ব্যবহৃত পানি পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করার লক্ষ্যে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের তত্ত্বাবধানে তৈরি করা হয়েছে পানি গবেষণা কেন্দ্র।  ২০১৫ সা...

বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক (ফটো ব্লগ- ২)

Image
ভাবুন, আপনি খাঁচায় বন্দী, আর বাঘ-সিংহ-ভাল্লুক-জিরাফ আপনাকে দেখতে আসছে। এমন ধারণার পুরোপুরি না হলেও কাছাকাছি অনুভূতি পাবেন গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে। খাঁচায় বন্দী না হলেও গাড়িতে বসে সাফারী করতে করতে দেখতে পারবেন নানা ধরনের প্রাণী। পার্কে প্রবেশের প্রধান ফটক এটি।  ৩৮১০ একর আয়তনের এ পার্কটি ইন্দোনেশীয় ও থাইল্যান্ডের সাফারী ওয়ার্ল্ডের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বানানো হয়েছে বলে দাবি করে কর্তৃপক্ষের।  পার্কটি পুরোপুরি দেখতে চাইলে কয়েক ধাপে টিকেটের জন্য খরচ করতে হবে মোট ২৯০ টাকা।  প্রথমেই প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকার বিনিময়ে পার্কের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবেশ করার অনুমতি মেলে, যেখানে ছোট-খাটো একটা চিড়িয়াখানা দেখা যায়।  পার্কের প্রদর্শনী ম্যাপ আপনাকে বলে দেবে   পার্কটি- কোর সাফারী, সাফারি কিংডম, বায়োডাইভার্সিটি পার্ক, এক্সটেনসিভ এশিয়ান সাফারী পার্ক এবং বঙ্গবন্ধু স্কয়ার- এই  পাঁচটি অংশে বিভক্ত ।  মূল সাফারী পার্ক এলাকা মিনিবাসে ছাড়া ভ্রমণ করা যায় না। বাসে ভ্রমণ মূল্য ১০০ টাকা।  বাস যাবে আফ্রিকান সাফারীর মধ্য দিয়ে। প্...

বেহাল সড়কে দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা (ফটো ব্লগ- ১)

Image
প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর হলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কিছু সড়কের খারাপ অবস্থা শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে। খানা-খন্দে ভরা এসব রাস্তায় দুর্ভোগের নতুন অনুসঙ্গ যোগ করেছে কালবৈশাখের বৃষ্টি। পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি তো থাকছেই।  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের চিত্র এটি। অভ্যন্তরীণ সড়কের অবস্থা কি রকম হতে পারে তার একটি ধারণা নেওয়া যেতে পারে এখান থেকে। পানি নিষ্কাষণের রাস্তা না থাকায় সড়কে বৃষ্টির পানি জমে থাকে দীর্ঘদিন। ফলে ফটকের এ পাশটা একরকম বন্ধই থাকে বর্ষার সময়। এই দৃশ্য নিশ্চয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুখকর নয়।      বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের ঠিক সামনের রাস্তায় রয়েছে বড় কয়েকটি গর্ত। ক্যাম্পাসের বহুল ব্যবহৃত এই রাস্তাটি দিয়েই ছাত্র-ছাত্রীরা খাবারের দোকানগুলোতে যায়। পাঁচটি ছাত্র হলে যেতেও এই রাস্তাটিই ব্যবহৃত হয়। এসব গর্ত সংবলিত ও কাঁদাকার রাস্তা তাদের নিয়মিত অসুবিধায় ফেলে।   কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের পার্শ্ববর্তী মুরাদ চত্বরের উল্টো দিকের রাস্তায় আবর্জনার এমন চিত্র চোখে পড়বে। বৃষ্টি এলেই গাড়ির চাকার কল্যাণ...