বেহাল সড়কে দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা (ফটো ব্লগ- ১)
প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর হলেও জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কিছু সড়কের খারাপ অবস্থা শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কারণ
হচ্ছে। খানা-খন্দে ভরা এসব রাস্তায় দুর্ভোগের নতুন অনুসঙ্গ যোগ করেছে কালবৈশাখের
বৃষ্টি। পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি তো থাকছেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রধান ফটকের চিত্র এটি। অভ্যন্তরীণ সড়কের অবস্থা কি রকম হতে পারে তার একটি ধারণা
নেওয়া যেতে পারে এখান থেকে। পানি নিষ্কাষণের রাস্তা না থাকায় সড়কে বৃষ্টির পানি
জমে থাকে দীর্ঘদিন। ফলে ফটকের এ পাশটা একরকম বন্ধই থাকে বর্ষার সময়। এই দৃশ্য নিশ্চয়ই
বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুখকর নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের
নতুন প্রশাসনিক ভবনের ঠিক সামনের রাস্তায় রয়েছে বড় কয়েকটি গর্ত। ক্যাম্পাসের বহুল
ব্যবহৃত এই রাস্তাটি দিয়েই ছাত্র-ছাত্রীরা খাবারের দোকানগুলোতে যায়। পাঁচটি ছাত্র
হলে যেতেও এই রাস্তাটিই ব্যবহৃত হয়। এসব গর্ত সংবলিত ও কাঁদাকার রাস্তা
তাদের নিয়মিত অসুবিধায় ফেলে।
কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের পার্শ্ববর্তী মুরাদ চত্বরের
উল্টো দিকের রাস্তায় আবর্জনার এমন চিত্র চোখে পড়বে। বৃষ্টি এলেই গাড়ির চাকার
কল্যাণে আবর্জনা উঠে যায় মূল রাস্তায়। নিয়মিত পরিস্কারের অভাবেই এমন অবস্থা তৈরি
হয়েছে।
ছাত্রী হলের রাস্তাগুলোতে আছে বড় বড় গর্ত। বেগম সুফিয়া
কামাল হলের সামনের রাস্তার এই বড় গর্তটি গত দুই বছরে অনেকগুলো ছোটখাটো দুর্ঘটনার
কারণ হয়েছে। হলের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা এই পথে নিয়মিত যাতায়াত করলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ এখনো নেননি।
ছাত্র হলগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আ ফ ম কামালউদ্দিন
হলের সামনের রাস্তায় আছে এ ধরনের বড় কয়েকটি গর্ত। বৃষ্টি এলেই এখানে পানি জমে যায়।
পাঁচটি হলের কমবেশি ছয় হাজার শিক্ষার্থী এই ভাঙা রাস্তা ধরেই কাঁদা-জল পেরিয়ে হলে
ফেরে। আরো অনেকে আসে খাবার খেতে।
‘কবীর সরণি’ নামে পরিচিত নতুন প্রশাসনিক ভবন থেকে
আ ফ ম কামালউদ্দিন হল পর্যন্ত এই সড়কটি আরো প্রশস্ত করা জরুরী। সংকীর্ণ হওয়ার দরুণ
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম এ ব্যস্ত সড়কটিতে প্রায় প্রতিদিনই ঘটে ছোটখাট দুর্ঘটনা। এ নিয়ে
হওয়া বসচা অনেক সময় চলে যায় মারামারির পর্যায়ে।
একদম কাছে না গেলে বোঝার উপায় নেই যে সামনে একটা গতিরোধক
(স্পিডব্রেকার) আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দশটি গতিরোধকের কোনটাতেই চিহ্নিতকরণ রং নেই।
ফলে একটু দ্রুত চালিয়ে আসা যে কোন বাহনের চালককেই গতিরোধকের সামনে এসে গতি সামলাতে বেগ পেতে হয়, ঘটে ছোটখাট
দুর্ঘটনাও। বিশেষত যারা বাইরে থেকে ঘুরতে আসেন তারা দুর্ঘটনার শিকার হন
বেশি।
এসব
সংকীর্ণ, খানা-খন্দ আর বৃষ্টির পানিতে ভরা রাস্তার আশু সংস্কার চান
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
Comments
Post a Comment