গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি কী?
রাজনৈতিক অর্থনীতি:
রাজনৈতিক অর্থনীতি কথাটি অর্থশাস্ত্রের পুরোনো নাম। বুর্জোয়া অর্থতাত্ত্বিকগণ এই শাস্ত্রের পথিকৃৎ। গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি বাংলাদেশে গণমাধ্যম বিষয়ক আলোচনায় সাম্প্রতিক সময়ে আলোড়ন তোলা শব্দযুগ্ম।
রাজনৈতিক অর্থনীতিকে এক বাক্যে প্রকাশ করা দুষ্কর। অভিধান থেকে অভিধানে এর শব্দগত সংজ্ঞা নিয়ে অমিল দেখা যায়। দি নিউ পালগ্রেভ গ্রন্থে রাজনৈতিক অর্থনীতিকে সম্পদবিজ্ঞান বলা হয়েছে।
আবার দি ডিকশনারি অব মর্ডান ইকোনমিক্স একে সংজ্ঞায়িত করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্কের তত্ত্ব ও চর্চা হিসেবে। অন্যদিকে যোগাযোগের রাজনৈতিক অর্থনীতি শাস্ত্রের পন্ডিত ভিনসেন্ট মস্কো রাজনৈতিক অর্থনীতিকে সরাসরি সংজ্ঞায়িত না করে তাকে অনুধাবন করার কথা বলেন।
অনেকে অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণবাদের সাথে রাজনৈতিক অর্থনীতিকে এক করে দেখেন। কিন্তু দুটি বিষয় একদম এক নয়, এবং এরা ভিন্ন ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতের প্রতিনিধিত্ব করে।
রাজনৈতিক অর্থনীতির আলোচনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে হতে পারে। বাজেট প্রণয়ন থেকে শুরু করে ফেইসবুক পর্যন্ত রাজনৈতিক অর্থনীতির আলোচনার বিষয়। বাজেটের রাজনৈতিক অর্থনীতির মূল সূত্র হচ্ছে বাজেটের শ্রেণিগত ভিত্তি চিহ্নিত করা। অর্থাৎ বাজেটের আয়-ব্যয়ের মাধ্যমে কোন শ্রেণির প্রতি সরকার পক্ষপাতিত্ব করছে সেটি নির্ণয় করা হচ্ছে বাজেটের রাজনৈতিক-অর্থনীতি নির্মাণ করা।
সুতরাং রাজনৈতিক অর্থনৈতিক আলোচনায় দেখা যাচ্ছে, একটি সাধারণ উপাদান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তিসমুহকে সংমিশ্রণ করে, যাকে রাজনৈতিক অর্থনীতি বলা হয়।
গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি:
গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি ধারার বিশ্লেষণে গণমাধ্যমের উপরিকাঠামো ও ভিত্তি অর্থাৎ উৎপাদন পদ্ধতি এবং মালিকানা- এই দুই কাঠামোকেই খতিয়ে দেখা হয়। এই ধারার প্রেক্ষাপটে মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণের কাঠামোর বিশ্লেষণ করে মিডিয়ার ক্ষমতা-সম্পর্কের নেপথ্য অনুসন্ধান করা হয়।
যুক্তরাজ্যের মিডিয়াতাত্ত্বিক ডেভিড হেসমন্ডহালজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তোলেন যে মিডিয়ার সকল রাজনৈতিক অর্থনীতি এক নয়। রাজনৈতিক অর্থনীতির ভেতরও নানা উপবর্গ আছে।
গণমাধ্যমের সমাজে ও রাষ্ট্রে যে শক্তি বিদ্যমান, তা নিয়ন্ত্রণ করতে অর্থনৈতিকভাবে বিত্তশালী অংশ এর মালিকানা অধিকার করতে চায়। মালিক যখন এ শক্তিটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার সুযোগ পায়, তখন সেই গণমাধ্যমের পেছনে বিনিয়োগকৃত পুঁজি রাজনৈতিক রূপ পায়।
একটা সংবাদপত্রে সংবাদ বেশি থাকার কথা। সাধারণভাবে সংবাদ ও বিজ্ঞাপনের অনুপাত থাকার কথা ৬০: ৪০। কার্যত অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঠিক এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। ফলে এখানে পুঁজির সঙ্গে পেশাদার সাংবাদিকতার বিরোধ হচ্ছে। সেই বিরোধটি আবার রাজনৈতিক অর্থনৈতিক হয়ে ওঠে এই অর্থে যে, গণমাধ্যমের পুঁজিতান্ত্রিক প্রবণতা রাজনীতির ঊর্ধ্বে যেতে পারে না।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যেমন অর্থনীতি চালিত হয়, তেমনি অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যেও রাজনীতি চালিত হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কারণে পুঁজির বিনিয়োগ হচ্ছে আবার সেখান থেকে প্রাপ্ত মুনাফা পুর্নবিনিয়োগ হয় রাজনীতিতে। ফলে অর্থনীতি ও রাজনীতি চক্রাকারে আবর্তিত হয়।
আলোচনায় এরই মধ্যে ঘুরেফিরে এসেছে গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি প্রভাবশালী মহল। প্রভাবশালী মহল বলতে সরকারপক্ষ, বিরোধী দল, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, করপোরেট হাউস, ব্যবসায়ী গ্রুপ এ প্রভাবশালী মহলের অর্ন্তভূক্ত।
আবার গণমাধ্যমের একাডেমিক শিক্ষার কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক সব আসে পশ্চিম থেকে। ফলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পশ্চিমা চোখ দিয়ে সবকিছু দেখার একটি প্রশিক্ষণ নিয়ে একজন সাংবাদিক তৈরি হয়। এটি গণমাধ্যম বিষয়ক শিক্ষাব্যবস্থার রাজনৈতিক অর্থনৈতিক দিক।
আমাদের দেশের গণমাধ্যমের আধেয়গুলো নির্ণীত হয় সম্ভাব্য ভোক্তার অনুমান নির্ভর আগ্রহকে কেন্দ্র করে। এখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনাচার যথেষ্ট উঠে আসে না। এক্ষেত্রেও রাজনৈতিক অর্থনীতি কাজ করে। গণমাধ্যমের ভোক্তা শহরে, তাই সেখানে শহুরে সংস্কৃতির প্রতিফলনটাই বেশি চোখে পড়ে।
গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতির প্রভাব দর্শক-শ্রোতার ওপর পড়ে। একটা সংবাদকে একেকটি মিডিয়ায় একেকভাবে উপস্থাপন করা হয়। ফলে অডিয়েন্স দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।
রাজনৈতিক অর্থনীতি কথাটি অর্থশাস্ত্রের পুরোনো নাম। বুর্জোয়া অর্থতাত্ত্বিকগণ এই শাস্ত্রের পথিকৃৎ। গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি বাংলাদেশে গণমাধ্যম বিষয়ক আলোচনায় সাম্প্রতিক সময়ে আলোড়ন তোলা শব্দযুগ্ম।
ফরাসি অর্থবিজ্ঞানী আন্তয়াঁ দ্য মঁক্রেতিয়ে প্রথম পলিটিকাল ইকোনমি বা রাজনৈতিক অর্থনীতি প্রত্যয়টি ব্যবহার করেন। আঠারো শতকে রাজনৈতিক অর্থনীতি ধারণার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের উদ্ভব ঘটে। তখন তা মূলত উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয়, বণ্টন ও তার সাথে আইন, প্রথা ও সরকারের সম্পর্ক বিচার-বিশ্লেষণ করতে ব্যবহৃত হয়েছে। এই ধারা পরে মার্কসবাদীদের হাতে নতুন মাত্রা পায়। মার্কসবাদীরা রাজনৈতিক অর্থনীতির আলোচনায় শ্রম ও পুঁজির দ্বন্দ্ব, শ্রমশোষণ, শাসকশ্রেণির মতাদর্শ নির্মাণের মতো বিষয়কে যুক্ত করেন।
রাজনৈতিক অর্থনীতিকে এক বাক্যে প্রকাশ করা দুষ্কর। অভিধান থেকে অভিধানে এর শব্দগত সংজ্ঞা নিয়ে অমিল দেখা যায়। দি নিউ পালগ্রেভ গ্রন্থে রাজনৈতিক অর্থনীতিকে সম্পদবিজ্ঞান বলা হয়েছে।
আবার দি ডিকশনারি অব মর্ডান ইকোনমিক্স একে সংজ্ঞায়িত করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্কের তত্ত্ব ও চর্চা হিসেবে। অন্যদিকে যোগাযোগের রাজনৈতিক অর্থনীতি শাস্ত্রের পন্ডিত ভিনসেন্ট মস্কো রাজনৈতিক অর্থনীতিকে সরাসরি সংজ্ঞায়িত না করে তাকে অনুধাবন করার কথা বলেন।
অনেকে অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণবাদের সাথে রাজনৈতিক অর্থনীতিকে এক করে দেখেন। কিন্তু দুটি বিষয় একদম এক নয়, এবং এরা ভিন্ন ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতের প্রতিনিধিত্ব করে।
রাজনৈতিক অর্থনীতির আলোচনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে হতে পারে। বাজেট প্রণয়ন থেকে শুরু করে ফেইসবুক পর্যন্ত রাজনৈতিক অর্থনীতির আলোচনার বিষয়। বাজেটের রাজনৈতিক অর্থনীতির মূল সূত্র হচ্ছে বাজেটের শ্রেণিগত ভিত্তি চিহ্নিত করা। অর্থাৎ বাজেটের আয়-ব্যয়ের মাধ্যমে কোন শ্রেণির প্রতি সরকার পক্ষপাতিত্ব করছে সেটি নির্ণয় করা হচ্ছে বাজেটের রাজনৈতিক-অর্থনীতি নির্মাণ করা।
আবার আমাদের বেতনবিহীন উদ্বৃত্ত শ্রম ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সুকৌশলে বিক্রয়যোগ্য পণ্যে রূপান্তর করেছে। অজান্তেই যে বিক্রি হচ্ছি, সেই বিষয়ে আমরা সচেতন নই। ফেসবুক সরাসরি কিছু বিক্রি করতে আসে না, কিন্তু খোদ আমাদেরই পণ্য আকারে বিক্রি করে দেয় বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে। যা একসময় নির্ভেজাল নেটওয়ার্কিংয়ের জায়গা ছিল, তা এখন পরিণত হয়েছে বিরাট অর্থনীতিতে। ২০০৯ সালে ফেসবুকের নিট আয় ছিল ১২২ মিলিয়ন ডলার, আর ২০১৩ সালে তা দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারে।
সুতরাং রাজনৈতিক অর্থনৈতিক আলোচনায় দেখা যাচ্ছে, একটি সাধারণ উপাদান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তিসমুহকে সংমিশ্রণ করে, যাকে রাজনৈতিক অর্থনীতি বলা হয়।
গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি:
সাধারণভাবে রাজনৈতিক অর্থনীতি বলতে বোঝায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে অর্থনীতিকে ব্যবহার করা। গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে বলা যায়, একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান যখন চালু হয়, তখন সেখানে শুধুই মুনাফা লাভের উদ্দেশ্য থাকে না, একইসাথে অন্য কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও থাকে। যখন আমরা দেখি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে গণমাধ্যম ব্যবহৃত হয়, অর্থাৎ গণমাধ্যমের পেছনে পুঁজির বিনিয়োগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চালিত হয়, তখন এ দুয়ের সমন্বয়ে যে প্রক্রিয়া, তাকে গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি বলি। তবে নিছক মুনাফা অর্জনও কোনো বিশেষ গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি হয়ে উঠতে পারে।
গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি ধারার বিশ্লেষণে গণমাধ্যমের উপরিকাঠামো ও ভিত্তি অর্থাৎ উৎপাদন পদ্ধতি এবং মালিকানা- এই দুই কাঠামোকেই খতিয়ে দেখা হয়। এই ধারার প্রেক্ষাপটে মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণের কাঠামোর বিশ্লেষণ করে মিডিয়ার ক্ষমতা-সম্পর্কের নেপথ্য অনুসন্ধান করা হয়।
যুক্তরাজ্যের মিডিয়াতাত্ত্বিক ডেভিড হেসমন্ডহালজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তোলেন যে মিডিয়ার সকল রাজনৈতিক অর্থনীতি এক নয়। রাজনৈতিক অর্থনীতির ভেতরও নানা উপবর্গ আছে।
গণমাধ্যমের সমাজে ও রাষ্ট্রে যে শক্তি বিদ্যমান, তা নিয়ন্ত্রণ করতে অর্থনৈতিকভাবে বিত্তশালী অংশ এর মালিকানা অধিকার করতে চায়। মালিক যখন এ শক্তিটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার সুযোগ পায়, তখন সেই গণমাধ্যমের পেছনে বিনিয়োগকৃত পুঁজি রাজনৈতিক রূপ পায়।
গণমাধ্যমের বিষয়বস্তুর সঙ্গে অর্থাৎ গণমাধ্যমে কোন অনুষ্ঠানগুলো প্রচার পাবে, কী ধরনের সংবাদ বেশি যাবে, কোন ধরনের সংবাদ যাবে না, তার সঙ্গে এই রাজনীতির একটি সম্পর্ক আছে। একজন মালিক যদি শুধু মুনাফার জন্য পুঁজি বিনিয়োগ করেন, তবে দর্শক-শ্রোতার চাহিদা অনুসারে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের কথা। কিন্তু ওই মালিকের হয়তো কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে বা ব্যবসায়ী হয়েও তার কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে অথবা কোনো দলকে সমর্থন বা নিজেকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অথবা ব্যবসার বা মালিকের নিজের অবৈধ বা নিয়মবহির্ভূত কর্মকা-কে ধামাচাপা বা বৈধতা দিতে তিনি গণমাধ্যমকে ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে যে রাজনৈতিক মূল্যবোধ তিনি ধারণ করেন বা ধারণ করতে চান, অনুষ্ঠান, সংবাদ, টক শো বা সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয় নিবন্ধে সেই মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হতে দেখা যায়।
একটা সংবাদপত্রে সংবাদ বেশি থাকার কথা। সাধারণভাবে সংবাদ ও বিজ্ঞাপনের অনুপাত থাকার কথা ৬০: ৪০। কার্যত অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঠিক এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। ফলে এখানে পুঁজির সঙ্গে পেশাদার সাংবাদিকতার বিরোধ হচ্ছে। সেই বিরোধটি আবার রাজনৈতিক অর্থনৈতিক হয়ে ওঠে এই অর্থে যে, গণমাধ্যমের পুঁজিতান্ত্রিক প্রবণতা রাজনীতির ঊর্ধ্বে যেতে পারে না।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যেমন অর্থনীতি চালিত হয়, তেমনি অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যেও রাজনীতি চালিত হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কারণে পুঁজির বিনিয়োগ হচ্ছে আবার সেখান থেকে প্রাপ্ত মুনাফা পুর্নবিনিয়োগ হয় রাজনীতিতে। ফলে অর্থনীতি ও রাজনীতি চক্রাকারে আবর্তিত হয়।
আলোচনায় এরই মধ্যে ঘুরেফিরে এসেছে গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি প্রভাবশালী মহল। প্রভাবশালী মহল বলতে সরকারপক্ষ, বিরোধী দল, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, করপোরেট হাউস, ব্যবসায়ী গ্রুপ এ প্রভাবশালী মহলের অর্ন্তভূক্ত।
আবার গণমাধ্যমের একাডেমিক শিক্ষার কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক সব আসে পশ্চিম থেকে। ফলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পশ্চিমা চোখ দিয়ে সবকিছু দেখার একটি প্রশিক্ষণ নিয়ে একজন সাংবাদিক তৈরি হয়। এটি গণমাধ্যম বিষয়ক শিক্ষাব্যবস্থার রাজনৈতিক অর্থনৈতিক দিক।
আমাদের দেশের গণমাধ্যমের আধেয়গুলো নির্ণীত হয় সম্ভাব্য ভোক্তার অনুমান নির্ভর আগ্রহকে কেন্দ্র করে। এখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনাচার যথেষ্ট উঠে আসে না। এক্ষেত্রেও রাজনৈতিক অর্থনীতি কাজ করে। গণমাধ্যমের ভোক্তা শহরে, তাই সেখানে শহুরে সংস্কৃতির প্রতিফলনটাই বেশি চোখে পড়ে।
গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতির প্রভাব দর্শক-শ্রোতার ওপর পড়ে। একটা সংবাদকে একেকটি মিডিয়ায় একেকভাবে উপস্থাপন করা হয়। ফলে অডিয়েন্স দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।
সুতরাং বলা যায়, সুনির্দিষ্টভাবে কোন মিডিয়ার ইতিহাস, মালিকানা, উৎপাদন-পদ্ধতি ও তার নেপথ্য কাঠামোগত অর্থনৈতিক ক্ষমতা-সম্পর্ক বিশ্লেষণের ধারাই হলো রাজনৈতিক অর্থনীতি ধারার বিশ্লেষণ। তবে একই সাথে একথাও বলতে হয়, রাজনৈতিক অর্থনীতি ধারা মিডিয়া বিশ্লেষণের প্রশ্নাতীতভাবে সেরা ধারা নয়। এর সাথে সংস্কৃতি পাঠ বা কালচারাল স্টাডিজ ধারা যোগ করলে গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যেতে পারে।
thanks
ReplyDelete