Posts

Showing posts from January, 2015

সামাজিক স্তরবিন্যাস

Image
স মাজস্থ ব্যক্তিবর্গকে উচ্চ-নীচু পর্যায়ে বিভক্ত করাকেই বলে সামাজিক স্তরবিন্যাস। মানব সমাজ সহজাতভাবেই বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত। সমাজব্যবস্থার অর্šÍভুক্ত ব্যক্তিবর্গকে বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত করলে তাদের মাঝে গড়ে ওঠে ক্ষমতা ও মর্যাদার এক সেপান। একেই বলে সামাজিক স্তরবিন্যাস।   বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে সামাজিক স্তরবিন্যাসকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। যেমন- সরোকিন বলেছেন, “নির্দিষ্ট একটি জনগোষ্ঠীর উঁচু-নীচু অবস্থানের ভিত্তিতে শ্রেণীসমূহের মধ্যে যে পার্থক্য বিদ্যমান তাকে সামাজিক স্তরবিন্যাস বলে।”   সমাজবিজ্ঞানী বটোমোর বলেছেন, “ Social stratification is the division of society into classes of strata, which form a hierarchy of prestige and power,.... ”   রাজনীতিক সমাজবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে স্তরবিন্যাসের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে থাকেন। মার্কসবাদী সমাজবিজ্ঞানীদের অভিমত, স্তরবিন্যাস মানব সমাজের কোন স্থায়ী বা শ্বাশ্বত বিষয় নয়। আর ক্রিয়াবাদীদের অভিমত, মানব সমাজে স্তরবিন্যাস হল অবধারিত, অপরিহার্য এবং শ্বাশ্বত।    রাজনৈতিক সমাজতত্ত্বের আলোচনায় স্তরব...

সংবাদ একটি পণ্য ও আমলাতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন

Image
আ দি সমাজে কর্মের বিভাজনের দিক থেকে দুই ধরনের লোক ছিল। একদল সমাজিক বিষয় নিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার দায়িত্ব নেয়, অন্যদল শারিরীক শ্রম দিত। সেই সমাজে এধরনের কর্মের বিভাজন ছিল, কিন্তু সম্মানের বিভাজন ছিল না। একপর্যায়ে যারা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করত তারা নিজেদের অধিক সম্মানিত দাবী করল। এভাবে সমাজে শ্রেণী বৈষম্য শুরু হল। সামজের এই অংশের দ্বারাই এবং মুলত এই অংশের সুবিধার জন্যই আমলাতন্ত্রের উদ্ভব। আমাদের মানতে কষ্ট হলেও এটাই ঠিক যে টুথপেস্ট, সাবান, পারফিউম কিংবা মেবাইল ফোনের মতই সংবাদও একটি পণ্য, একইসাথে এটি একটি আমলাতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন। কারখানায় এই পণ্য প্রতিদিন উৎপাদন করা হয়, যার উদ্দেশ্য মুলত মুনাফা অর্জন এবং বিদ্যমান ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা। সামাজিক প্রভাবক এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের কথা মাথায় রেখেই সংবাদের অ্যাঙ্গেল ও বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়। মিডিয়া মালিকরা প্রথমে মিডিয়াতে বিনিয়োগ করে। তারপর এখানে সংবাদকে দিয়ে ব্যবসা করে। প্রথমে তারা পাঠক তৈরি করে, এরপর এই পাঠকদের বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে বিক্রি করে দেয়। সংবাদপণ্যের বাজার মুলত দুইটি। প্রথমত সংবাদমাধ্যম অডিয়েন্সের কাছে সংবাদ...

গণমাধ্যমের প্রচারণা মডেল ও ফিল্টার

Image
সং বাদ মাধ্যমের সকল খবর এক ধরনের ছাঁকন-প্রণালীর মধ্য দিয়ে পরিশোধিত হয়ে পাঠক-দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পৌঁছায়। সেন্সরশিপের এই সীমাটি কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিরোধী কোনো রাষ্ট্রীয় আইন-কানুন কিংবা মিডিয়ার নিজের দিক থেকেও কোন সেন্সর দ্বারা নির্ধারণ হয় না। বরং আর্থ-রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মিডিয়ার যে গড়ন-কাঠামো সেই কাঠামোর খুঁটিগুলোই নির্ধারণ করে দেয় কী ছাপা যাবে আর কী ছাপা যাবে না।    পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ারটন স্কুলের ফিন্যান্সের অধ্যাপক এডওয়ার্ড হারম্যান এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অভ টেকলোনজির ভাষাতত্ত্ব ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক নোম চমস্কি কর্পোরেট সাংবাদিকতার এই দিকটিকে তাদের ‘ম্যানুফ্যাকচারিং কনসেন্ট: দ্য পলিটিক্যাল ইকোনমি অব দ্য ম্যাস মিডিয়া’ বইতে ব্যাখ্যা করেছেন। সেখানে তারা ‘মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের প্রচারণা মডেল’ উপস্থাপন করে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে পাঁচটি ফিল্টারের কথা বলেন। তারা আমেরিকার প্রেক্ষাপটে এই মডেলটি আলোচনা করলেও তা এখন বিশ্বের সর্বত্র প্রযোজ্য হচ্ছে।   তারা এই বইতে দেখিয়েছেন মার্কিন মিডিয়ার মতপ্রকাশের আঙিনাটি আসলে খুব সংকীর্ণ ...